Posted in

সেই আগের ঈদ আর নেই

ছোট বেলায় ঈদ আসলে খুব খুশি হতাম। কারণ নতুন জামা কাপড় কেনা হত। তার চেয়ে মজার ছিল ঈদের বকশিশ । ঈদের সেই কয়টা দিন পার করতাম স্বপনের মধ্য দিয়ে। সারাদিন খেলাধুলা, আড্ডা, টিভি দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশি মজা পেতাম সন্ধ্যার পর উঠানে পাটি বিছিয়ে শুয়ে থাকতে সবাই মিলা। আর শুয়ে শুয়ে নতুন কোন খেলা আবিষ্কার করে ফেলতাম কোন একজন। আমার চাচাতো ভাই বোনের সংখ্যা আল্লহর রহমতে কম নয়, প্রায় ২ ডজন। তাই খেলার জন্য লোকের অভাব হত না কখনো। বরং প্রায়ই সময়ে একাধিক গ্রুপ করে খেলতে হত (জুনিয়ার এন্ড সিনিয়র গ্রুপ)।

ঈদের ২দিন আগে থেকেই চিন্তায় পরে যেতাম এত সকাল সকাল ঠান্ডা পানি দিয়ে গুছোল করব কিভাবে। যাই হোক সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা ভয়ে ভয়ে পুকুরের দিকে এগিয়ে যেতাম। আর ৫ মিনিট ধরে দাড়িয়ে থেকে সাহস করে নেমে পরতাম গুছোল করতে আর তা শেষ হয় মাত্র ২ মিনিটির মধ্যে। তার পর নতুন জামা কাপড় পরে রওনা হতাম ঈদ গা-এর দিকে। সবার সাথে নামায আদায় করে বাসায় আসার পর একজন একজন করে সব মুরুব্বিকে সালাম করতাম এবং অটোমেটিক পকেট ভারি হতে থাকত ।

গতকাল বিকালে দাদার বাড়ি থেকে ঈদ করে ফিরলাম। তখন থেকেই কথাটি মাথায় ঘুরছে, “সেই আগে ঈদ আর নেই”।
এখন আর সেই ভাবে সবাই একসাথে সময় কাটাতে পারি না, সবাই যার যার মত ব্যাস্ত। আর দাদি ছাড়া কেউ ঈদের বকশিশ ও দেয় না। এখন ঈদ কাটাই টিভির আয়োজন দেখে দেখে।

2 thoughts on “সেই আগের ঈদ আর নেই

  1. ছোটকালের ঈদ আর এখনের ইদের মধ্যে তো পার্থক্য থাকবেই

    ঈদের ২দিন আগে থেকেই চিন্তায় পরে যেতাম এত সকাল সকাল ঠান্ডা পানি দিয়ে গুছোল করব কিভাবে।

    একেবারে ঠিক কথা বলছেন, আমারো সেটা মনে হত । প্রায় সময় তো ঈদ শীতকালের মধ্যেই হত । কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে এখন ঈদ গরমেই হচ্ছে।

    গত বছর আর এবছরে আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন!! সবকিছু কেমন যেন ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে

  2. ঈদেতো ছোটোদের মজাই বেশী 🙂 আমরা তো বুড়া হয়ে গেছি

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.